#সৌমিত্র_চট্টোপাধ্যায়: মানুষের মৃত্যু হলেও চিরস্মরণীয় হয়ে থেকে যায় তার কাজ। মৃত্যুর এক দিন আগেও সামনে এসেছে বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কাজ। গতকাল অর্থাৎ শনিবার সামনে এসেছে তার গলায় আবোল তাবোলের একাংশ।
১৯২৩ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল আবোল তাবোল। ৫৩ টি ছড়ার সেই বই আজও বাঙালির মনে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তারই একটি অংশ মিনিস্ট্রি অফ মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে গতকাল। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সত্যজিৎ রায়ের যোগ্য পুত্র সন্দীপ রায়। লকডাইনের মধ্যেই আবোলতাবোল পাঠের কাজ শেষ করেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। গোটা কাজটি সারতে মাত্র দুদিন সময় নিয়েছিলেন তিনি।
এখনও অবধি সামনে এসেছে ‘গোঁফ চুরি’. ‘কাঠবুড়ো’, ‘খিচুড়ি’, ‘সৎ পাত্র’, ‘গানের গুঁতো’র মতো বিখ্যাত ছড়াগুলি।
৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল বেলভিউ ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। তার পর সেই সংক্রমণ সারলেও তাঁর শরীরে একাধিক গুরুতর উপসর্গ দেখা দেয়। চিকিৎসকরা সব রকম চেষ্টা করেও তাঁকে ফেরাতে পারলেন না। সৌমিত্রর শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হয় বৃহস্পতিবার । বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ একে একে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। অবশেষে রবিবার ৮৫ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়। বাংলাসহ সারা বিশ্ব তাঁর প্রয়াণে শোকস্তবদ্ধ।