#এসসিও-বৈঠক: লাদাখ উত্তেজনা শুরু হওয়ার পর এই প্রথমবার সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেই সুযোগকে সাধ্যমত কাজেল লাগালেন মোদী। এসসিও’র শীর্ষ বৈঠকে না করেই শি জিনপিং এবং পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে কড়া বার্তা দিলেন মোদী, বললেন প্রত্যেকেরই অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করা উচিৎ।
উল্লেখ্য, এই এসসিও বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এদিন সদস্য দেশগুলির মধ্যে আরও ভালো সম্পর্ক গড় তোলার পক্ষে সওয়াল করেন মোদী। নাম না করেই চীনা প্রেসিডেন্টকে নিশানা করে এদিন মোদী বলেন, “সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বহু পুরনো। ভারতের বিশ্বাস, একে অপরের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান জানিয়ে যোগাযোগের ক্ষেত্র আরও বৃদ্ধি করার পথে এগিয়ে যেতে হবে।”
এসসিও’র মূল নীতি লঙ্ঘন করে যেভাবে পাকিস্তান অহেতুক বারবার কাশ্মীরের প্রসঙ্গ টেনে আনার চেষ্টা করে, তা নিয়ে এদিন পাক-প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকেও আক্রমণ শানান মোদী। তিনি বলে, “এসসিওয়ের সনদে যে নীতি উল্লিখিত আছে, তা মেনে বরাবর কাজ করেছে ভারত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এসসিওয়ের কর্মসূচির মধ্যে অকারণে দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলিকে টেনে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। যা এসসিওয়ের মূল ভিত্তির বিরোধী।”