#মুকুল রায়: চলতি বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তবে এবার নির্বাচনে মূল প্রতিপক্ষ তৃণমূল–বিজেপি। এবার বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং তাঁর স্ত্রীর সম্পত্তির পূর্ণ হিসেব এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টোরেট বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে মুকুল রায় পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এমন কোনও নোটিশ পাননি। পেলে অবশ্যই জানাবেন। ইডি’র দাবি, নথিপত্র বা ব্যাঙ্ক আমানতের যে সব তথ্য তিনি আগে পেশ করেছেন, তা আংশিক। পূর্ণাঙ্গ তালিকা দিতে হবে।
মঙ্গলবার এই বিষয়ে মুকুল রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এমন কোনও নোটিশ ইডি’র পক্ষ থেকে পাইনি। আমি আগেও যা বলেছি এখনও তা বলছি। এখানে কোনও লুকোছাপার বিষয় নেই। তবে ইডি’র নোটিশ পেলে অবশ্যই সংবাদমাধ্যমকে জানাবো।’
সূত্রের খবর, ওই চিঠিটি লেখা হয়েছে ৯ নভেম্বর এবং তাতে বলা হয়েছে যে ৩ জুলাই ই–মেল করে মুকুলবাবুর কাছে যা নথিপত্র চাওয়া হয়েছিল এবং ৩১ জুলাই ই–মেল করে তিনি তার অনেকটা জানিয়ে দেন। তবে এখনও কিছু নথি বাকি আছে।
ইডির কথায় মাত্র একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি দিয়েছেন তিনি। তাঁর স্ত্রীর সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য চাই। চিঠি পাওয়ার সাতদিনের মধ্যেই ২০১৩–১৪ অর্থবর্ষ থেকে আজ পর্যন্ত তিনি যত সম্পত্তি কিনেছেন, তারও হিসেব দিতে হবে। এখানেই তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, শুভেন্দু কবে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? মুকুল রায় বলেন, ‘এখনও কথা হয়নি এই বিষয়ে। কথা হলে জানিয়ে দেব।’
ইডি সূত্রে খবর, বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থা সারদার আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে মুকুল রায়ের। সেই সময় তিনি ছিলেন শাসকদলের নেতা । রাজ্য পুলিশ ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল কাশ্মীরে সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন, ওই সংস্থার অন্যতম কর্ত্রী দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে। পরে সিবিআই এর তদন্তভার নেয়। সুদীপ্তদের গাড়ি চালক অরবিন্দ সিং চৌহান অভিযোগ করেন তাদের সঙ্গে বরাবর যোগাযোগ ছিল মুকুল রায়ের । ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে কলকাতায় সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে মুকুলবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। নারদ মামলাতেও নাম জড়ায় বর্তমানে বিজেপির প্রভাবশালী নেতা মুকুল রায়ের।
