#স্বাস্থ্যসাথী: এবার থেকে রাজ্যের সকলেই সরকারি প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পাবেন, এই ঘোষণা আগেই করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কীভাবে তার জন্য আবেদন করা যাবে, কীভাবে ব্যবহার করা যাবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, তাও জানিয়েছিলেন আগেই। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি সেই কার্ড প্রকাশ করলেন। এরপর আবেদনকারীদের হাতে হাতে পেয়ে যাবে স্মার্টকার্ডটি। ১ ডিসেম্বর থেকে চালু হবে এই পরিষেবা। পরিবারের অভিভাবকের নামে ৫ লক্ষ টাকার বিমা কার্ড দেখিয়ে রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালের পাশাপাশি ভেলোর এবং এইমসেও চিকিৎসা করানো যাবে।
এদিন বৈঠকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের জন্য ডিসেম্বর থেকে বেতন বৃদ্ধি কার্যকর হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়া থেকে ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ নামে যে প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন, এবার দ্রুততার সঙ্গে ‘স্বাস্থ্যসাথী’-সহ নানা রাজ্য সরকারি প্রকল্প ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে তাকেই সামনে আনার কথা বললেন তিনি। তিনি জানান যে আগামী কয়েকদিন রাজ্যের বিভিন্ন ব্লকে সরকারের তরফে ক্যাম্প করা হবে।
এদিন ‘স্বাস্থ্যসাথী’র কার্ড প্রকাশ্যে এনে তার সঙ্গে কেন্দ্রের ‘আয়ুষ্মান ভারত যোজনা’র তুলনাও করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘আয়ুষ্মান প্রকল্পে কেন্দ্রে চিকিৎসার ৬০ শতাংশ খরচ দেয়, ৪০ শতাংশ আমাদেরই দিতে হয়। আর আমাদের প্রকল্পে ১০০ শতাংশ খরচই দিই আমরা। এতে অনেক বেশি মানুষ উপকৃত হন।’ এ বিষয়ে তিনি কেন্দ্রের থেকে প্রাপ্য অর্থ নিয়ে ফের সরব হন। ফের অভিযোগ তোলেন যে রাজ্যগুলোর প্রাপ্য অর্থ দিচ্ছে না কেন্দ্র।