#সিএএ: করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ–র বিরুদ্ধে আন্দোলন বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও সিএএ-এর পক্ষে প্রচারের কর্মসূচিও বন্ধ হয়ে পড়ে। তবে লকডাউনে বন্ধ থাকলেও আনলক প্রক্রিয়া শুরু হলেই ফের সিএএ নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছে কেন্দ্র। শুক্রবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে নদিয়ার বগুলায় রাস্তায় নামে মতুয়া সমাজ। এর নেতৃত্ব দেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।
এদিন সমাবেশে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘আমরা জানি সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাস্তবায়িত হয়েছে। আমরা চাই আপনারা এর সুবিধা দ্রুত পান। কিন্তু এটা জেনে রাখুন, যতদিন পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সরকার থাকছে ততদিন ওরা এই আইন রাজ্যে কার্যকর হতে দেবে না। তাই সিএএ বলবৎ করতে তৃণমূল সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবেই।’
অন্যদিকে, মতুয়াদের ভুল বোঝানো হচ্ছে বলে এদিন দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ তথা দলের নদিয়া জেলা সভাপতি মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেন, ‘বিজেপি–র লোকজন অশিক্ষিত। ওই মিথ্যাবাদীগুলো কী বলল তার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। কিন্তু ওরা মতুয়াদের ক্রমাগত ভুল বোঝাচ্ছে। তৃণমূল থাকতে পশ্চিমবঙ্গে সিএএ কার্যকর হবে না। আমরা তা হতে দেব না।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপি–র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা বাংলা সফরে এসে ফের সিএএ সম্পর্কে উস্কে দেন । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সিএএ আইন দ্রুত প্রয়োগ হবে। করোনার পরিস্থিতি দেখে নিয়ে আইন প্রয়োগ করা হবে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’ এ বিষয়ে জে পি নাড্ডার বলেন, ‘সবাই এই আইনের সুবিধা পাবেন। পেতে বাধ্য। এখন বিভিন্ন আইনকানুন তৈরির কাজ চলছে। তবে করোনা পরিস্থিতির জেরে সাময়িকভাবে তা থমকে রয়েছে। করোনা মিটলেই নাগরিকত্ব আইনের সুবিধা সকলে পাবেন।’ বলাবাহুল্য দলের নির্দেশ মেনে রাজ্যে শান্তনু ঠাকুরের হাত ধরে ফের সিএএ প্রচার শুরু হল।