#একুশে-বঙ্গ-নির্বাচন: সামনেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিছুদিন আগেই বঙ্গ সফরে এসে একুশের লড়াইয়ে ২০০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দিয়েছেন। এবার জোরকদমে ভোটের প্রস্তুতিতে নেমে পড়ল বিজেপি নেতৃত্ব। তবে এক্ষেত্রে রাজ্য নেতৃত্বের বদলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেই যাবতীয় দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যরের নেতৃত্বাধীন আজকের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে।
আজ হেস্টিংসে বিজেপির কার্যালয়ে অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা এবং রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। মোট ৬ জন কেন্দ্রীয় নেতার উপস্থিতিতে বৈঠকে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের ৫ সাংগঠনিক জোনের রাজ্য নেতাদের উপরে পর্যবেক্ষক এবং আহ্বায়কের দায়িত্ব থাকবেন পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতা।
হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুর-এই তিন জেলার মিলিত জোনের দায়িত্ব পেয়েছেন ত্রিপুরায় জয়ের অন্যতম কারিগর অভিজ্ঞ সুনীল দেওধর। রাঢ়বঙ্গ জোনের দায়িত্ব বিনোদ সনকরকে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন দুষ্মন্ত গৌতম। নবদ্বীপ জোনের দায়িত্ব বিনোদ তাওরেকে দেওয়া হয়েছে, এবং উত্তরবঙ্গ জোনের দায়িত্ব পেলেন কেন্দ্রীয় নেতা হরিশ দ্বিবেদী।
দলীয় সূত্রে খবর, রাজ্যের এই পাঁচটি জোনের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা আগামী ১৮ থেকে ২০শে নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জোনের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসে হাল-হকিকত পরখ করে নেবেন। তারপরে সেইমতো পরবর্তী পরিকল্পনা তৈরি করা হবে বলেই খবর। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, বিহারের পর এবার এ রাজ্যেও মাটি শক্ত করতে কোনোরকম কসরত ছাড়ছে না গেরুয়া শিবির।